সশস্ত্র গণবিস্ফোরণ
সত্তরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় বাঙালীদের যেমন উৎসাহিত করেছিল, তেমনি পাকিস্তানী শাসক-শোষকগোষ্ঠীকে করে তুলেছিল ভীত-সন্ত্রস্ত। পশ্চিম পাকিস্তানের জুলফিকার আলী ভুট্টোর ‘পিপলস পার্টি’ এবং পূর্ব পাকিস্তানে শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়লাভের মধ্য দিয়ে প্রকৃতপক্ষে পূর্ব এবং পশ্চিম উভয় অঞ্চলের জনগণই যে স্পষ্ট রায়টি দিয়েছিল তা ছিল ‘আর এক রাষ্ট্র নয়, আমরা দু’টি ভিন্ন রাষ্ট্র, আমাদের আশা-আকাঙ্খা, স্বপ্ন-সাধ এবং চাহিদা ভিন্নতর। উভয় দেশৈর জনগণের রায়ই যেন দুই দেশের জন্য দু’টি ভিন্ন পতাকা রচনার সিদ্ধান্ত দিয়ে দিল। আর তাই তো মিঃ ভুট্টো পূর্ব পাকিস্তানে অনুষ্ঠিতব্য সংসদ অধিবেশনে যোগদান করতে সরাসরিই অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করলেন। শুধু কেবল তাই-ই নয়, তাঁর পিপলস পার্টির কোন সদস্য যদি সেই সংসদ অধিবেশনে যোগদানের লক্ষে্য ঢাকায় আসে, তাহলে সে সকল সংসদ-সদস্যদের পা ভেঙে দেয়া হবে বলেও হুমকি প্রদান করলেন। এদিকে তৎকালীন সামরিক শাসক জেনারেল ইয়াহিয়া খান বার বার সংসদ অধিবেশনের বৈঠক আহ্বান করেও অধিবেশন বসাতে ব্যর্থতার পরিচয় দিলেন। বেশ কয়েকবার বৈঠকের তারিখ পরিবর্তন করা সত্ত্বেও সংসদ অধিবেশন হলো না। Continue reading “অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা : মেজর জলিল”