প্রত্যেক মুসলমানের জন্য বিদ্যা অর্জন করা ফরজ এটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু এর মানে এই নয় দূনিয়ার যাবতীয় জ্ঞানের ভান্ডার হতে হবে একজন মুসলমানকে। তবে জ্ঞানার্জনের মধ্যে একজন মুসলমান হিসেবে আল্লাহ নির্দেশিত যে সকল হুকুম আহকাম মেনে চলতে হয় তা সঠিকভাবে রাসূল (সাঃ) এর দেখানো পদ্ধতিতে পালন করার জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষাগ্রহণ করা সর্বাগ্রে ফরজ। কিন্তু আমাদের দেশের অধিকাংশ মুসলমানই সালাতের প্রয়োজনীয় নিয়মকানুন জানেন না এমনটি কখনো কখনো যে নামাজের আরকান পর্যন্ত সংক্ষেপ করার সুযোগ আছে সে সম্পর্কে অনেকরই ধারণা নেই এবং এসব মৌলিক বিষয়ে প্রশিক্ষণও দেয়া হয় না। আসুন আজ আমরা আল্লামা হাফিয ইবনুল কায়্যিম রচিত ‘যাদুল মা’আদ’ গ্রন্থের ইবাদত অধ্যায়ের সালাত সংক্রান্ত অনুচ্ছেদ থেকে জেনে নেই যুদ্ধকালীন তথা শত্রুভীতিকালীণ নামাজের পদ্ধতিসমূহঃ
সময় গেলে সাধন হবে না
ক্লাস সেভেনে থাকতেই নিয়মিত জামায়াতে নামাজ পড়ার ব্যাপারে অভ্যস্ত হয়ে পরি। আযানের আগেই ঘুম থেকে উঠে পড়তাম। এরপর পাড়ার প্রতিটি বাড়ীতে কড়া নেড়ে নেড়ে বন্ধুদের ঘুম ভাঙাতাম। বন্ধুদের অধিকাংশই সমবয়েসী, কেউ ক্লাস সিক্সে পড়ে, কেউ সেভেনে আবার কেউ বা ক্লাস এইটে। পাড়ার অভিভাবকরাও ধর্মীয় অনুশাসন মানার ব্যাপারে আগ্রহী ছিলেন, তাই জামায়াতে নামাজ পড়ার এ আন্দোলনের প্রতি সবারই ছিল অকুষ্ঠ সমর্থন।
ঘুম ভাঙতেই আমার অভিযান শুরু। একে একে মাইনুল, ফরিদ, জুয়েল, অলি এভাবে সব বন্ধুকে নিয়ে মেতে উঠি উৎসবে। আমরা এতো ভোরে উঠতাম যে আজান দেয়ার জন্য মোয়াজ্জিন ঘুম থেকে জাগে নি। তাই আমরা মুয়াজ্জিনের বাসায়ও কড়া নাড়ি। অবশ্য মাঝে মাঝে আমাদের মধ্য থেকেই কেউ কেউ আযান দিয়ে মুয়াজ্জিনের ঘুমের মাত্রা বাড়িয়ে দিতো। নামাজ শেষে বন্ধুরা মিলে বেইলি ব্রিজ পর্যন্ত দলবেধে জগিং। Continue reading “সময় গেলে সাধন হবে না”