“Good Fences Make Good Neighbors” আর প্রতিবেশী যদি হয় আকার-আকৃতি, অর্থ-প্রতিপত্তি, ধনে-মানে অনেক বেশী শক্তিশালী তবে সে সব প্রতিবেশীদের সাথে গড়ে তোলা উচিত “মান্দারগাছ সর্ম্পক”, অর্থাৎ অপ্রয়োজনীয় মাখামাখি না করাই শ্রেয়। মনে রাখা দরকার, বড়দের সাথে অতিরিক্ত সম্পর্ক স্থাপনে ছোটরা উপকারের চেয়ে ক্ষতিগ্রস্থই হয় বেশী। সম্পর্ক যত বৃদ্ধি পায় ছোটদের রান্নাঘর-শোবারঘর সবকিছুতেই বড়দের একটা জোরজবরদস্তিমূলক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়, অথচ বৈঠকখানা ডিঙ্গিয়ে অন্দরমহলে প্রবেশের সুযোগ মেলেনা অপেক্ষাকৃত দূর্বল প্রতিবেশীর। প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে, বাজার সওদায়, ফুট-ফরমায়েশ খাটতে প্রতিনিয়ত ডাক পড়ে দূর্বল প্রতিবেশীর, যদিও কঠিন দূর্যোগেও সাধারণত বৃহৎ প্রতিবেশীরা ছোটদের খুব একটা উপকারে আসে না। তবে ব্যতিক্রম যে একেবারে নেই তা নয়, তবে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে এসব কথা অক্ষরে অক্ষরে মিলে যায়। Continue reading “এশিয়ার রোল মডেল ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক”
মানুষ না আওয়ামী লীগ?
কতটা নির্মম হলে মানুষ পশুকেও হার মানায়? কতটা নির্দয় হলে শয়তানও লজ্জায় মুখ লুকায়? কুকুরেরও ধর্ম আছে, প্রতিপক্ষ আত্মসমর্পন করলে নির্যাতন বন্ধ করে ওরা। অথচ কি আশ্চর্য, মানুষের মুখোশ এঁটে পাশবিক উল্লাসে মাতে ছাত্রলীগ-যুবলীগ-পুলিশলীগ নামের হিংস্র হায়েনার দল। না, হায়েনা নয় ওরা, হায়েনার পাশবিকতারও সীমা আছে, আওয়ামী রক্ষীবাহিনীর বিভৎসতার কোন সীমা নেই, শেষ নেই। ১২ টি ইসলামী দল আহুত ও প্রধান বিরোধী দল গুলোর সমর্থনে “আল্লাহর উপর অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস” রক্ষার দাবীতে ডাকা দেশব্যাপী হরতালে পুলিশ নামের আওয়ামী জানোয়ার আর রক্ষীবাহিনীর সশস্ত্র তান্ডবে স্তম্ভিত বিশ্ববিবেক। বিশ্বজুড়ে আজ একটাই প্রশ্ন, কি হচ্ছে বাংলাদেশে?
গান (Gun) পুজাতন্ত্রী বাংলাদেশ
In Bangladesh, Democracy is a government, by the gun, of the goon and for the goof. বাংলাদেশে, নির্বোধ জনগনকে আমৃত্যু দৌড়ের উপর রাখতে সন্ত্রাস নির্ভর মাফিয়া শাসনই গণতন্ত্র। এ গণতন্ত্রে অস্ত্রপুজাই ধর্ম, শোষণই কর্ম, প্রাচূর্যই মূল লক্ষ্য। আসুন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়ে দেখি সুধীজনদের কড়া আলাপ। Continue reading “গান (Gun) পুজাতন্ত্রী বাংলাদেশ”
ঐ আসে ছাত্রলীগ, পালাও বাঁধন পালাও
আজকের এ রাতে, হ্যা মাত্র এক যুগ আগে ২০০০ সালের প্রথম প্রহরে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড নামে খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে হাজারো ছাত্রের মাঝে, পত্রপত্রিকার ক্যামেরার সামনে ছাত্রলীগের গুন্ডারা মেতেছিল দ্রৌপদীর বস্ত্রাহরণে। ছাত্রলীগের চিহ্নিত নেতা রাসেলের নেতৃত্বে সেদিন শুধু বাঁধনেরই বস্ত্রহরণ করেনি, ওরা পুরো বিশ্বের সামনে বাংলাদেশের ইজ্জতকেই লুটে নিয়েছিল। সেদিন ছাত্রলীগের নেতাদের এমন অপকর্মে অনেকেই সাফাই গেয়েছেন, “দুয়েকজনকে দিয়ে তো আর পুরো দলের বিচার করা যায় না”। হ্যা, তা হয়তো ঠিক কিন্তু যারা রাধুনী তারা জানেন একটি ভাত টিপেই বলা যায় পুরো পাতিলের ভাত তৈরী কি না। কিন্তু না, শুধু একটি নয়, সারা বাংলাদেশের যেখানেই নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, ইভটিজিং বিভিন্ন অভিযোগে যত অঘটন ঘটেছে সবক্ষেত্রেই ছাত্রলীগের নামটাই ঘুরে ফিরে বার বার এসেছে। আর এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হয়ে উঠেছে ছাত্রলীগের অপকর্মের অভয়ারণ্য। জাহাঙ্গীরনগরে ধর্ষণে সেঞ্চুরি করে ছাত্রলীগ নেতা মানিক ক্যাম্পাসে মিষ্টি বিতরণ করে নারী নির্যাতনের যে নজীর স্থাপন করেছিল তা আরব্য রজনীর দেশের গল্পকেও হার মানায়। মানিকের মতো ছাত্রলীগের সোনার ছেলেদের অমর কীর্তিতে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া অনেক ছাত্রীর ছাত্র জীবন শেষ হয়েছে, বিয়ে, সংসার ভেঙ্গেছে অসংখ্য নারীর।
ভিশন ২০২১ : শিশু নির্যাতন
আজ মিডিয়ার কল্যাণে আওয়ামী লীগের হিংস্রতার যে সংবাদটি দেখলাম তা শুধু আমার নয়, সারা বিশ্ববিবেককেই স্তম্ভিত করেছে। আওয়ামী লীগের নরপিশাচদের হাতে শিশু নির্যাতনের বিভৎস প্রতিবেদন আজ যারা দেখেছে তাদের কারো পক্ষেই আর সন্তানদের নিরাপত্তার চিন্তায় ঘুমানো সম্ভব হবে কি না জানা নেই। আওয়ামী লীগের নেতাদের নির্দেশে ছোট্ট ছোট্ট শিশুদের ধরে পৌশাচিক নির্যাতনের মাধ্যমে বিকলাঙ্গ করে ভিক্ষায় নামানো হয়, মেয়েদেরকে নামানো হয় যৌন ব্যবসায়। এভাবেই সাত বছরের শিশু নেয়ামুলকে ধরে এনে এনে ব্লেড দিয়ে গলা কেটে, পুরুষাঙ্গ কেটে, বুক হয়ে পেট পর্যন্ত চিরে, ইট দিয়ে মাথায় আঘাতে আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত করে, শরীরের বিভিন্ন স্থানে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে বিকলাঙ্গ করে হাতে ভিক্ষের থালা দিয়ে নামিয়ে দেয় রাস্তায়। কোন কোন শিশুকে হাত পায়ের রগ কেটে এমনক ৬ মাস এলুমনিয়ামের পাতিলের মাঝে বন্দীকরে বিকলাঙ্গ করে ভিক্ষায় নামানো হয়। সারাদিন-সারারাত অমানষিক নির্যাতন সয়ে সয়ে ভিক্ষে করে যায় ওরা। ভিক্ষের সবটাকা লুটে পুটে শুকনো রুটি বা বাসিপঁচা ভাত খেতে দিয়ে পরের দিন আবার নামিয়ে দেয়া হয় ভিক্ষের থালা নিয়ে, নির্দিষ্ট স্খানে। এভাবে দিনের পর দিন কোমল মতি শিশুদের নির্যাতন করে করে বিকলাঙ্গ করে আওয়ামী লীগের একশ্রেণীর নেতা খোদ ঢাকা মহানগরীতেই জমিয়ে বসেছে রমরমা ভিক্ষা ব্যবসা। টিভি রিপোর্ট দেখতে দেখতে মনে হচ্ছিল যেন আমি পশ্চিমবঙ্গের স্যাটেলাইট চ্যানেলে মেগাসিরিয়াল দেখছি। আওয়ামী লীগ যাই করে সবকিছুতে ভারতের একটা মিল থাকে, যেন ভারতীয় প্রেতাত্মারা ভর করে আওয়ামী লীগের ঘাড়ে, আর একের পর এক অপকর্ম করে যায় তারা অবলীলায়। স্টার জলসায় যেমন বাংলাদেশের রমণীরা অস্ত্রুসজল চোখে চেয়ে চেয়ে দেখে ঝিলিকের বাধ্য হয়ে ভিক্ষে করার করুন দৃশ্য, আমিও তেমনি বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলে দেখি তার চেয়েও হাজারগুণ পৈশাচিক আওয়ামী বর্বরতার দৃশ্য।
লাশের রাজনীতি
রাজা যায় রাজা আসে নূর হোসেনদের লাশের সিঁড়ি মাড়িয়ে, তবু গণতন্ত্রের মুক্তি মেলে না, স্বৈরাচার নিপাত যায় না।
স্বৈরাচার এরশাদকে সিংহাসন থেকে টেনে হিঁচড়ে নামাতে শেখ হাসিনা রাজনীতির বলির পাঠা বানিয়েছিলেন শহীদ নূর হোসেনকে, উৎসর্গীত পশুর মতো বুকে “স্বৈরাচার নিপাত যাক//” পিঠে “গণতন্ত্র মুক্তি পাক//” স্লোগানে সাজিয়ে মিছিলে পেছন থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল তাকে, এমটাই মনে করেন সাবেক স্বৈরশাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। আমরা দেশবাসীও অবাক বিস্ময়ে প্রতিনিয়ত অবলোকন করি একের পর এক আওয়ামী লাশের রাজনীতি।
আমরা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের সন্তান
গত ২ ডিসেম্বর ২০১০ তারিখে গোলাম মোর্তজা সম্পাদিত ও ২৬, ইস্কাটন গার্ডেন, রমনা, ঢাকা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক পত্রিকা “সাপ্তাহিক”-এর বর্ষ ৩ সংখ্যা ২৯ এ ” ইন্টারনেটে জামায়াত-শিবিরের প্রপাগাণ্ডা” শীর্ষক মূল প্রতিবেদনে প্রতিবেদক আনিস রায়হান আমাদের এ সাইটটি নিয়ে সংক্ষিপ্ত রিপোর্ট করেছেন যা আমাদেরকে কৌতুহলী করে। রিপোর্টে তিনটি ওয়েবসাইট, দুটি ব্লগ, একটি ফোরাম ও সামাজিক ওয়েবসাইট ফেসবুক নিয়ে চুলচেরা (নাকি চুলছেড়া) বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদক অন্ধকারে দড়ি দেখে সাপ সাপ বলে বিলাপ জুড়ে দিয়েছেন। তার এ আর্ত চিৎকারে সরকার দিশেহারা হবে কিনা তা জানা না গেলেও ইতোমধ্যেই “সাপ্তাহিক” পত্রিকাটির সাধারণ পাঠকরাই যে পত্রিকার আওয়ামী প্রপাগান্ডা দেখে স্তম্ভিত হয়ে গেছেন তা বেশ উপলব্ধি করতে পারছি, বিশেষ করে পত্রিকার রিপোর্টে পাঠকের মন্তব্যগুলো দেখে আমাদেরও আক্কেলগুড়ুম। Continue reading “আমরা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের সন্তান”
এক কাপড়ে বের করে দেয়া হলো খালেদাকে, বাকশাল তাড়ানোর দায়িত্ব জনতার
২৮ অক্টোবর : আওয়ামী জাহেলিয়াতের প্রত্যাবর্তন
মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন আওয়ামী লীগের ৪৩ গণপরিষদ সদস্য!!!
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচিত ৪৩ জন গণপরিষদ সদস্য। আজ ২২ সেপ্টেম্বর ২০১০, বুধবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ এ তথ্য জানান। আইনমন্ত্রী সাধারণত কম কথা বলেন, অবশ্য তার মন্ত্রনালয়ে কামরুল ইসলাম নামের যে কলের গানটি আছে তা শুধু আইন মন্ত্রণালয় নয়, পুরো সরকারের বলা না বলা কথাগুলো উদ্গীরণ করে যাচ্ছে। তবুও আইনমন্ত্রী মাঝে মাঝেই যে দু’একটি কথা বলেন তা আওয়ামী লীগের অপরাজনীতির মুখোশ উন্মোচনের জন্য যথেষ্ট। এতদিন আওয়ামী লীগ একচেটিয়ে ভাবে মুক্তিযুদ্ধকে যেমন তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি দাবী করে আসছিল, আইনমন্ত্রীর এ বক্তব্যে কিছুটা হলেও জোঁকের মুখে নুণের ছিটে লাগবে। যদিও সংসদেই এর তীব্র বিরোধিতা হয়েছে, তোফায়েল আহমেদ আপত্তি জানিয়েছেন এমনকি ডেপুটি স্পিকার শওকত আলীও প্রতিবাদ করেছেন। স্পীকার যে কখনোই নিরপেক্ষ হয় না, নিরপেক্ষতার ঠুনকো ছদ্মবেশ ধারণ করে থাকে তারও একটা নজির হয়ে থাকবে আজকের সংসদ। Continue reading “মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন আওয়ামী লীগের ৪৩ গণপরিষদ সদস্য!!!”