চাঁদের স্নিগ্ধ আলো পাগল করেনি এমন প্রেমিক ক’জন আছে? চন্দ্রালোকে অনেকেই তন্দ্রা হারায়, প্রেমিক হয় কবি, জোৎস্নার সাথে সাথে বাড়ে প্রেমিকের বাড়াবাড়ি। চাঁদের মায়াজালে মোহাচ্ছন্ন হয় পৃথিবী। “আমার মরণ চাদনী প্রহর রাইতে যেন হয়” গাইতে গাইতে আরেক মায়াবী জগতে চলে যায় কেউ কেউ, পূর্ণিমা রাতে আত্মহত্যার প্রবণতা নাকি বেড়ে যায় অনেক।
চাঁদেরও কলংক আছে। এ কথা কারো অজানা নয় যে চাঁদের নিজস্ব আলো নেই, অন্যের আলোই তার রূপের উৎস। তাইতো সূর্য, নক্ষত্র সব কিছুতেই তার ভয়, পাছে তার দৈন্য প্রকাশ হয়ে যায়। যাকে অন্যের আলোয় আলোকিত হতে হয়, জোঁনাকী পোঁকাও তার কাছে ইর্ষার পাত্র। তাই যত আলোর উৎস, হোক না বড় বা ছোট সব কিছুকেই তার হিংসে, সব আলোতেই তার বড় ভয়।
গতকাল প্রথম আলো ব্লগে আমি স্বপ্ন দেখি ভালোবাসা সিক্ত সুদিনের. লেখাটি প্রথম পাতায় স্থান পায়। হয়তো সঞ্চালক ভালো করে পড়েন নি লেখাটি, নিন্দুকেরা যাকে দায়িত্ব অবহেলা বলে। কিংবা লেখাটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে সঠিক ধারণা নিতে পারেন নি তিনি। তাই তো দেখি কিছু সময় প্রথম পাতায় লেখাটি স্থান পেলেও সঞ্চালকের নির্মম ঝড়ো হাওয়ায় তা নিভে যায়। শুরুতেই বাকস্বাধীনতার এমন রূপ দেখে ভরকে গেলাম।
আমরা কাকে বেশি ভয় পাই? কার অপমানে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয় বেশী? কেউ যদি আমাকে গালি দেয় তবে তা হয়তো হজম করা সহজ কিন্তু কেউ যদি মা-বাবাকে টার্গেটে পরিণত করে কিংবা যাকে আমি প্রভূবলে মান্য করি তার দিকে যদি কেউ চোখ রাঙ্গায়, তবে তার প্রতি ক্রোধের কোন সীমা থাকে না আমাদের। ক্ষমতা থাকলে আমরা তার মুখ সেলাই করে দেই কিংবা চীরতরে স্তব্ধ করে দেই সমালোচনার সব মুখ।
উদাহরণ সবত্র ছড়িয়ে, উদাহরণ এখানেও । “দৈনিক প্রথম আলো সম্পাদক সমীপে”……………..???? লেখাটি সরাসরি প্রথম আলো সম্পাদককে ঘিরে হলে তা হজম করে ফেলেছে কর্তৃপক্ষ। দেখে মনে হলো মত প্রকাশে অবাধ স্বাধীনতার পূজারী বুঝি এরা। কিন্তু আমার ভুল ভাঙ্গতে দেরী হয় না। কিছু পরে প্রকাশিত আমার লেখাটি যদিও সরাসরি কাউকে আঘাত করে নি, বরং যাতে গণতন্ত্রের গুণগানই করা হয়েছিল, কি করে যেন প্রথম আলো কর্তৃপক্ষ লেখায় প্রভূদের মান হানির গন্ধ খুঁজে পায়। নিজের অপমান সহ্য করা যায়, তাই বলে যাদের ক্ষমতায় দাদাগিরি, যাদের স্নেহ ধন্য হয়ে প্রাচুর্য গড়ি, তাদের দিকে কেউ আঙ্গুল তুলে নাচাবে তা তো আর মেনে নেয়া যায় না।
যদি লেখাটি প্রথম পাতায় না আসতো, কোন কথা ছিল না, মেনে নেয়া যেত। কিন্তু ভেল্কিবাজীর বলে লেখাটিকে সব পাতা থেকেই মুছে দিয়ে আপনাদের হীনমন্যতার যে পরিচয় দিলেন তা মোটেই কাম্য হতে পারে না।
তবুও ঠিকই করেছেন। প্রভূভক্তির দৃষ্টান্ত দেখিয়েছেন। আর আমারও চোখ খুলে দিয়েছেন। আর যাই হোক চাঁদের মায়াবী আলোয় পাগল হয়ে আত্মহত্যা থেকে তো বেঁচে গেলাম।
এমনটাই কি হবার কথা না?
[উত্তর দিন]
ধন্যবাদ, তবুও হাতে কলমে শিক্ষার বিকল্প নাই, পেয়েও গেলাম।
[উত্তর দিন]
amar o nhai akoi obostha….Alo ke sobay voi pai….
[উত্তর দিন]
শাহরিয়ার উত্তর দিয়েছেন:
নভেম্বর 1st, 2009 at 6:54 অপরাহ্ন
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য
[উত্তর দিন]
Ashole ora aloke onek voi pai
[উত্তর দিন]
শাহরিয়ার উত্তর দিয়েছেন:
অক্টোবর 31st, 2009 at 12:38 অপরাহ্ন
যতই চোঁখে পট্টি বেঁধে রাখি, যতই চোখ লুকাই অন্ধকার গহ্বরে, আলো তো আর থেমে থাকে না কারো অপেক্ষায়, আলো আসবেই।
[উত্তর দিন]
শাহরিয়ার উত্তর দিয়েছেন:
নভেম্বর 1st, 2009 at 6:53 অপরাহ্ন
অন্ধকারের যাত্রী যারা আলোতে তাদেরই শুধু ভয়।
[উত্তর দিন]
অালেয়াকে অালো ভেবে ভুল করেছেন ।
অালেয়া কখনো চায়না সত্য অালোর স্ফূরণ ।
[উত্তর দিন]