জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লাকে আজ বিকেল সোয়া ৪ টায় হাইকোর্ট চত্তর থেকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। আরেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মাদ কামারুজ্জামানকে গ্রেফতার করতে পুলিশ হাইকোর্ট ঘিরে রাখে। মুহাম্মাদ কামারুজ্জামান তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকের চেম্বারে অবস্থান করছিলেন। পরে তাকেও সোয়া ৬ টায় গ্রেফতার করা হয়। আদলতের রায়কে সম্পূর্ণরূপে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আজ গ্রেফতার করা হলো এ নেতাদের। অথচ আজই কামারুজ্জামান, আব্দুল কাদের মোল্লা, হাজী নাজিমউদ্দিন ও আবুল হোসেনের আগাম জামিনের আবেদন শুনানি ও নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের গ্রেপ্তার বা হয়রানি না করতে সরকার ও পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। জনৈক আমীর হোসেন মোল্লা বাদী হয়ে পল্লবী থানায় দায়ের করা গণহত্যা মামলায় কাদের মোল্লাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবী করেছে পুলিশ।
ধীরে ধীরে ইসলামী আন্দোলনকে নেতৃত্ব শূন্য করার পায়তারা চলছে। সরকার নিশ্চিতভাবে ধরেই নিয়েছে যে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রথম কাতারের নেতাদেরকে গ্রেফতার করলেই সরকারের পতনকে ঠেকিয়ে রাখা যাবে। তাই একের পর এক হাস্যকর, মিথ্যে মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে আমীরে জামায়াত, সেক্রেটারী জেনারেল ও নায়েবে আমীরকে। আজ গ্রেফতার করা হলো সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল দ্বয়কে। পাশাপাশি দেশব্যাপী প্রতিটি জেলা থেকেই কোন না কোন শীর্ষ নেতাকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে জামায়াত ও শিবিরের কর্মী-সমর্থকদের মাঝে আতংক ছড়ানোর চেষ্টা চলছে। দেশব্যাপী গ্রেফতার করা হয়েছে প্রায় সহস্র নেতা-কর্মীকে।
তবে সরকারের এ বিষয়টি ভালোভাবে বুঝা উচিত ছিল যে ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা কখনোই ফুলেল শুভেচ্ছা কামনা করে আন্দোলন করে না। তারা ভালো করেই জানে ইসলামী আন্দোলনের পথ কুসুমাস্তীর্ণ নয় বরং পথের বাঁকে বাঁকে ওত পেতে আছে ফেরাউন নমরুদের চ্যালা। তাদের প্রতি পদক্ষেপে বেছানো আছে অভিষপ্ত আবু জেহেলের কাঁটা। তারপরও তারা এ পথে এগিয়ে চলে, এগিয়ে চলে দৃপ্ত পদে। তারা জানে, ফুঁৎকারে আল্লাহর নূরকে নির্বাপিত করা যায় না।
يُرِيۡدُوۡنَ لِيُطۡفِـُٔوۡا نُوۡرَ اللّٰهِ بِاَفۡوَاهِهِمْ وَاللّٰهُ مُتِمُّ نُوۡرِهٖ “এরা তাদের মুখের ফুঁ দিয়ে আল্লাহর নূরকে নিভিয়ে দিতে চায়৷ অথচ আল্লাহর ফায়সালা হলো তিনি তার নূরকে পূর্নরূপে বিকশিত করবেন” -সূরা আসসফ আয়াত ৭
বর্তমান আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাকশালী স্টাইলে হত্যা, গুপ্ত হত্যা, সন্ত্রাস, গণ ধর্ষণ, ইসলাম ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী শক্তিকে দূর্বল করতে নানামুখী নীপিড়নের যে মহরত শুরু করেছে তা যে সহসাই থেমে যাবে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা তা আশা করে না। জামায়াত শিবিরের নেতা কর্মীরা এটাও ভালো করে জানে যে আওয়ামী লীগ ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের নির্যাতন করে করে পিঠ দেয়ালে ঠেকিয়ে দিতে চায়। বাকশালীরা আশা করে আছে ওদের অত্যাচারে কোনঠাসা হয়ে হয়তো এক সময় কোনঠাসা বেড়ালের মতো খামচে দেবে বাকশালী চোখ, আর তখনই আগে থেকে ওত পেতে থাকা বাকশালী প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার ক্যামেরা ক্লিক ক্লিক করে ফ্রেমবন্দী করে রাখবে নির্যাতিত কর্মীদের প্রতিরোধের ছবি, মুহূর্তেই ইথারের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেবে বিশ্বময়, “দেখ দেখ, ঐ যে বেড়িয়ে পড়েছে লুকানো অস্ত্র, খামছে দিয়েছে বাকশেয়ালের চোখ”। কিন্তু যারা ইসলামী আন্দোলনকে ভালোবাসে তারা কিছুতেই সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেয় না, তাই নীরবে মুখবুজে শত নির্যাতন সয়ে সয়ে এক আল্লাহর কাছেই ফরিয়াদ করছে, “আল্লাহ তুমি আমাদের এ জালেমদের হাত থেকে রক্ষা করো”। শত নীপিড়নেও ওরা প্রতিরোধ গড়ে তুলছে না তাই কিছুতেই।
তাইতো দেখি ধৈর্যের বাধ ভেঙ্গে যাচ্ছে আওয়ামী রক্ষীবাহিনীর। প্রতিনিয়ত মিডিয়ার মাধ্যমে ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের ফুসলানো হচ্ছে জোড়ালো আন্দোলন গড়ে তুলতে। তবে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন সংগ্রামে বিশ্বাসী জামায়াত-শিবিরের কর্মীদেরকে অবশ্যই আল্লাহর উপর ভরসা করে ধৈর্যধারণ করতে হবে, শত নির্যাতনেও ঈমানের উপর টিকে থাকতে হবে, আর চোখ কান খোলা রাখতে হবে যাতে বাকশালী আওয়ামী লীগ তাদের কুকুরের মতো হিংস্র ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং নিরাপত্তারক্ষীর ছদ্মাবরণে রক্ষীবাহিনী দিয়ে যেন কিছুতেই নাশকতা বা অস্তিতিশীলতা সৃষ্টি করে জামায়াত-শিবিরের ঘাড়ে দোষ চাপাতে না পারে। এতো দিনেও যেহেতু জামাত-শিবিরের কর্মীদের দিয়ে কোন ধ্বংসাত্মক কাজের প্রমাণ বের করতে পারে নি ওরা, তাই দিশেহারা হয়ে বাকশালীরা যে কোন পরিকল্পিত নাশকতার সৃষ্টি করে ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দিতে পারে। আর কে না জানে তাদের গৃহপালিত বুদ্ধীজীবী, টকশোজীবী আর মিডিয়াগুলো ঠিকই প্রস্তুতি নিয়ে আছে ওদের রঙ্গমঞ্চে জামায়াতের চরিত্র হণনে।
নেতৃত্ব শূন্য কর্মীবাহিনী দিকভ্রান্ত হয়ে যায়, কেন্দ্রীয় কমান্ড না থাকায় ছোট ছোট নেতাদের ঘিরেই বৃত্ত তৈরী করে কর্মীবাহিনী, দেশব্যাপী তখন হাজারো পরিকল্পনা তৈরী হয়। তবে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের এমনটাই প্রশিক্ষণ দেয়া আছে যে, দূর্যোগ মুহূর্তেও তারা ঠিকই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অপেক্ষায় থাকে, আঞ্চলিক ছোট ছোট নেতার অধীনে কোন বড় সিদ্ধান্ত নেয় না। ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের কাছে এটি স্পষ্ট হলেও কামড়াকামড়ির রাজনীতিতে অভ্যস্ত আওয়ামী বাকশালীদের কাছে তা অজানা। তাই জামায়াত শিবিরকে ফাঁসাতে ঠিকই তারা নাশকতা করে বসতে পারে। ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদেরকে এহেন ষড়যন্ত্র থেকে সাবধান থাকতে হবে।
We the muslim, never fear in opression, because our destination is after our death. We will work for Islam, Allah will hep us Insha Allah. Pray for our leader and revive our islamis thought, dormant islamic worker by ur writings. yhanks.
[উত্তর দিন]
শাহরিয়ার উত্তর দিয়েছেন:
জুলাই 13th, 2010 at 7:11 অপরাহ্ন
আপনাকেও ধন্যবাদ জিয়া ভাই।
আল্লাহই আমাদের উত্তম আশ্রয়স্থল, যাবতীয় ভরসা একমাত্র তাঁরই উপর।
[উত্তর দিন]
জেনারেল মঈন উ আহমেদ এত কিছু করার পরও ওই মহিলা (শেখ হাছিনা ) অপমান বোধ করেন নাই , তার 100% প্রমান হচ্ছে বর্তমান উগ্রপন্থি রাজনীতি ,দমন ,নিপিডন ,খুন , গুপ্তহত্যা, জুলুম ,নির্যাতন ,রিমান্ড সব কিছু মিলিয়ে এক ভয়বহ অবস্থা .
[উত্তর দিন]
শাহরিয়ার উত্তর দিয়েছেন:
জুলাই 13th, 2010 at 8:05 অপরাহ্ন
হাসিনা চারিদিকে শত্রুর ছায়া খুঁজে মরে, অথচ তিনি নিজেই যে নিজের সবচেয়ে বড় শত্রু তা কি বুঝতে পারে না?
[উত্তর দিন]
ভাই আমার অতো ধৈর্য্য নাই। এখনি মাইর শুরু করা দরকার।
[উত্তর দিন]
শাহরিয়ার উত্তর দিয়েছেন:
জুলাই 13th, 2010 at 8:25 অপরাহ্ন
তা-ই তো চাইছে সরকার, তবে সরকারে পাতা ফাঁদে পা দেয়ার সুযোগ নেই।
[উত্তর দিন]
কোন ভুল করা চলবে না।নেতৃ বৃন্দ যা করতে বলবেন তার থেকে বিন্দু মাত্র নড়া যাবে না।আবেগ সংযত করে আল্লাহ এর সাহায্যের অপেক্ষা করতে হবে।আল্লাহ এর সাহায্যা নিকটবর্তী।
[উত্তর দিন]
শাহরিয়ার উত্তর দিয়েছেন:
জুলাই 13th, 2010 at 11:30 অপরাহ্ন
পুরোপুরি একমত। ধন্যবাদ।
[উত্তর দিন]
এই সরকারের পেট কত বড়? আর কতজনকে ধরলে ওদের পেটের ক্ষুধা নিবারন হবে?
[উত্তর দিন]
শাহরিয়ার উত্তর দিয়েছেন:
জুলাই 14th, 2010 at 7:51 পূর্বাহ্ন
ওরা হায়েনার চেয়েও হিংস্র, দেখেননা নিজেরাই ক্যামন কামড়াকামড়ি করে।
[উত্তর দিন]
শাহরিয়ার ভাই সুন্দর লেখেছেন . আমি একটু কপি করছি,ডোন্ট মাইন্ড .ধন্যবাদ .
[উত্তর দিন]
শাহরিয়ার উত্তর দিয়েছেন:
জুলাই 14th, 2010 at 7:51 পূর্বাহ্ন
ধন্যবাদ। কপি করতে মানা নেই, সোর্স উল্লেখ করলে ভালো, না করলেও ক্ষতি নাই।
[উত্তর দিন]
AWl always against of Islam, but if anybody want to destroy Islami Anolan Inshallah himself will destroy soon. By arresting5/10 leaders they can’t stop Islamic movement, Inshallah it will increase more & more….
[উত্তর দিন]
শাহরিয়ার উত্তর দিয়েছেন:
জুলাই 14th, 2010 at 11:50 পূর্বাহ্ন
ইনশাআল্লাহ।
[উত্তর দিন]
বিচার বিভাগ স্বাধীন তারা স্বাধীনভাবে এ রায় দিয়েছ ।
আবার নিবার্হী বিভাগ ও স্বাধীন । তারা ও স্বাধীনভাবে তাদের গেপ্তার করেছে ।
এর মধ্যে অন্যায় কী দেখলেন ?
.
জনগণ আওয়ামী লীগকে সংবিধান পরিবর্তনের ক্ষমতা ও দিয়েছে সেখানে গেপ্তার করতে বা রিমান্ডে নিতে আদালতের রায় কেন দরকার আমি বুঝিনা ।
.
আওয়ামী লীগ বাকশাল কায়েম করুক বা না করুক তা দেখার দায়িত্ব জনগণ আপনাকে দেয়নি ।
.
আওয়ামী লীগ দেশ স্বাধীন করেছে । দেশের মানুষের রক্তে আওয়ামী লীগ নেতাদের পা ধুয়ে দিলেও এ ঋণ শোধ হবে না ।
.
তারা যা করবে সেটাই আইন ।
এর বিরুদ্ধ কিছু লিখলে জিব টেনে ছিড়ে ফেলব ।
[উত্তর দিন]
শাহরিয়ার উত্তর দিয়েছেন:
জুলাই 14th, 2010 at 11:48 পূর্বাহ্ন
লিখলে জিব ছিড়বেন কেন ভাই, বলতে পারেন আঙ্গুল কেটে দেবেন। আর তা যে আপনারা পারেন তা আগামীকালের সূর্যোদয়ের মতোই সত্য বলেই মানে দেশবাসী। মাহমুদুর রহমানই তো তার জ্বলন্ত প্রমাণ।
তবে আল্লাহ নামে যে অদ্বিতীয় স্রষ্টা আছেন তার কথা কি আগে শুনেছেন? আমরা আবার শুধু তাকেই ভয় করি, আর যারা আল্লাহকে ভয় করে তারা ছুঁচো দেখে আঁৎকে ওঠে না।
[উত্তর দিন]
রাজনীতিতে আল্লাহকে নিয়ে আসেন কেন ?
[উত্তর দিন]
শাহরিয়ার উত্তর দিয়েছেন:
জুলাই 14th, 2010 at 1:01 অপরাহ্ন
না এনে উপায় কি বলেন, আমাদের তো ঐ একজনই খোদা। আপনারা তো রাজনীতিতে মুজিব, অর্থনীতিতে কার্লমার্কস, সমরনীতিতে হিটলার… সব ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা খোদা মানেন। আমাদের এক আল্লাহই যথেষ্ট এবং সবক্ষেত্রে একমাত্র তারই আনুগত।
[উত্তর দিন]
আল্লাহ মুসলিমদের একমাত্ত ভরসা ভয়ের কোন কারণ নেই।
[উত্তর দিন]