বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে দূর্ণীতিগ্রস্থ দেশ হিসেবে বদনাম কুড়িয়েছে। সন্ত্রাস, হত্যা, ধর্ষণ প্রভৃতি আমাদেরকে বারবার বিশ্ব দরবারে লজ্জিত করেছে। আমরা সবাই ভাবি, বাংলাদেশকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না। কেউ কেউ তো বাংলাদেশে জন্মেছে বলে বিধাতাকেই দুষতে থাকে।
কিন্তু আমরা একবারও দেখিনা ঘোর কালো অমাণিশা ভেদ করে সুবেহ সাদেকের আভা পূর্বাকাসে ক্রমশ উজ্জল হয়ে উঠছে।
বাংলাদেশী মানুষ প্রকৃতই কি অপরাধপ্রবন? যারা এদেশের মাটি ও মানুষকে কাছে থেকে দেখেছে, তারা কোন ক্রমেই এ মতের সাথে একাত্ম হতে পারে না। পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ধানসিঁড়িসহ অসংখ্য নদ-নদী বিধৌত আমাদের এ সোনার দেশটির নরম মাটির মতো নদীপাড়ের চৌদ্দকোটি জনতার হৃদয়ও মততা মাখা। এদেশের মানুষকে একবার যদি কেউ পথের সন্ধান দেয় তবে গন্তব্যে পৌঁছতে তাকে আর অন্ধের মতো হাত ধরে নিয়ে যেতে হয় না।
এইতো কিছুদিন আগেও আমাদের ভদ্র অভদ্র সবাই কুস্তিকরে বাসের যাত্রী হতাম। আজ কি আর অমন দৃশ্য চোখে পড়ে? আজ ঢাকার প্রতিটি রাস্তায় বাসের জন্য অপেক্ষমান যাত্রীদের সুশৃংখল লাইন। যেখানে লাইনে দাড়ানোর জন্য কোন নিয়ম বেধে দেয়া হয় নি, সেখানেও কিছু লোক জড়ো হলে সারিবদ্ধভাবে দাড়ায়।.replica watches,rolex replica watches,replica watches uk.
আসলে আমাদেরকে সঠিক দিকনির্দেশনা দেয়ার লোকের অভাব বলেই আমরা পথ চলতে পারি না।
সেদিনের কথা কি কেউ ভুলতে পারবে, যেদিন একটি অসহায় কিশোরের জীবন বাঁচাতে এগিয়ে এসেছিল দেশের হাজার হাজার মানুষ। শত চেষ্টা করেও আমরা অমিতকে বাঁচাতে পারি নি, তবু অমিত আমাদের হৃদয়ের গহীনে নীরবে বয়ে চলা ভালবাসার নদীটির সন্ধান দিয়েছে তাকি আমাদেরকে সামনে এগিয়ে যেতে উদ্্বুদ্ধ করে না?
আমি দিনগুনি। জানি সোনালী দিনটির অপেক্ষায় রয়েছে দেশের চৌদ্দকোটি জনতা। তবু সে দিন কি আসবে না? সেই সোনালী দিনে জন্য, সেই হ্যামিলনের বাশিওয়ালার জন্য পথ চেয়ে আছি? বাশরিয়া সাড়া দাও।