ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি ও উত্যক্তকারী হিসেবে ছাত্রলীগ সম্পর্কে একটা অভিযোগ বরাবরই ছিল। সেঞ্চুরিয়ার মানিক ছাত্রলীগের সে অশুভ চরিত্রটিকে সবার সামনে দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট করে তোলে। ধর্ষণে সেঞ্চুরী করে ছাত্রলীগ নেতা মানিক যে কলঙ্কের ইতিহাস রচনা করেছিল সে ইতিহাসের পঙ্কিল পথে প্রতিনিয়ত ছুটে চলছে ছাত্রলীগ। আগে শুধু ছাত্রলীগের ছাত্ররাই এ সব কাজে সিদ্ধহস্ত ছিল, ইদানিং ছাত্রলীগের ছাত্রীরা ছাত্রদের চেয়েও কয়েক ধাপ এগিয়ে বেশ্যাবৃত্তিকে দলীয় কর্মসূচীতে পরিণত করেছে। পত্রিকার রিপোর্ট থেকে এ কথা বেরিয়ে এসেছে যে ছাত্রলীগের ছাত্রী নেত্রীদের কাজ এখন আওয়ামী লীগ নেতাদের ও মন্ত্রীদের বাসায় ছাত্রীদেরকে সরবরাহ করা। এমনকি নিরীহ ছাত্রীদেরকেও বাধ্য করা হচ্ছে মন্ত্রীদের বাসায় গিয়ে তাদের মনোরঞ্জনে। বিকৃত যৌনাচারে ছাত্রলীগ একের পর এক যে নোংরা ইতিহাস রচনা করছে তাতে মনে হয় বিকৃত যৌনাচারই ছাত্রলীগের মূল পরিচয়।
পত্রিকা থেকে জানা যায় যে সকল ছাত্রী ছাত্রলীগের প্রস্তাবিত যৌনাচারে অসম্মতি জানায়, তাদের হয় জোরপূর্বক ধর্ষণে বাধ্য করা হয় অথবা জামাত শিবিরের সমর্থক বলে হোস্টেল থেকে বের করে দেয়া হয়। দেহব্যবসার মাধ্যমে ছাত্রলীগের ছাত্রী নেত্রীরা অবৈধ অর্থের পিছনে ছুটতে গিয়ে ব্যবসার নেতৃত্ব নিয়েও এরা সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে। গতকাল দেহব্যবসা নিয়ে ইডেনে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ১০জন আহত হওয়া তারই সাক্ষর বহন করে।
রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশে সামাজিক অবক্ষয় এভাবে যদি দিন দিন বাড়তেই থাকে তাহলে সমাজে সম্মানের সাথে নারীদের টিকে থাকাটাই অসম্ভব হয়ে দাড়াবে। আমরা আমাদের মা-বোনদেরকে সম্মান করি, তাদেরকে চরিত্রবান রূপেই দেখতে অভ্যস্ত। এভাবে ছাত্রলীগের অত্যাচারে নিরীহ বোনেরা যদি তাদের সতিত্ব হারায় তবে তার দায়ভার কিছুতেই সরকার এড়াতে পারে না। বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে মানিকের অপকর্মের ফলে মেয়েদের বিয়ে ভেঙ্গে যেত শুধু জাহাঙ্গীরনগরের ছাত্রী পরিচয়ে। সম্মানের সাথে সমাজে যারা চলতে চায় তারা জেনে শুনে এমন কোন নারীকে বিয়ে করতে চায় না যার দিকে সমাজের আর দশটা লোক চরিত্রহীন নারী বলে ইংগিত করার সুযোগ পায়। বলাই বাহুল্য যে বিশ্বিদ্যালয়ের ছাত্রী মানেই চরিত্রহীন নয়, বরং গুটিকয়েক দেহব্যবসায়ীর জন্য পুরো ছাত্রীদেরকেই সন্দেহের চোখে দেখা হয়।
যারা বিশ্বিবদ্যালয়ের ছাত্রীনিবাসে থেকে পড়াশুনা করতে ভয় পান, নিজেদের সতিত্বকে মক্ষীরাণীদের হাত থেকে পবিত্র রাখতে চান তারা অনেকেই ক্যাম্পাসের বাইরে বাড়ী ভাড়া নিয়ে থাকছেন। কিন্তু ইদানিং ছাত্রলীগের চরিত্রহননের কর্মসূচীতে ভীত হয়ে বাড়ীওয়ালা কিংবা পাড়া মহল্লার মুরুব্বীরাও “ছাত্রীরা আবাসিক এলাকায় থাকলে ‘পরিবেশ নষ্ট হয়’! এমন অভিযোগে ছাত্রীদের বাসা ভাড়া দিতে অনীহা প্রকাশ করছে। ছাত্রীদের শিক্ষার পরিবেশ এভাবে যদি বিঘ্নিত হয় তবে দেশের অর্ধেক শিক্ষার্থীর শিক্ষা হুমকির মুখে পড়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক। যে সকল ছাত্রী অন্যায়ের সাথে আপোষ করতে শেখে নি তারা ছাত্রলীগের অপকর্মে হয় লেখাপড়া ছেড়ে দেবে, নয়তো ছাত্রলীগের সাথে আপোষ করে ভিরে যাবে মক্ষীরানীদের আস্তানায়, এমন আশংকা আজ অভিভাবকদের মনে।
আমরা চাই না আমাদের মা বোনেরা শিক্ষার আলো বঞ্চিত হোক। আমরা চাই না আমাদের বোনদের দিকে আঙ্গুল তুলে কেউ চরিত্রহীন বলে গালি দিক। আমরা চাই নিরাপদ শিক্ষার পরিবেশ। আমরা চাই চরিত্রবান ভবিষ্যত।
আজকে পত্রিকা গুলোতে (প্রথমআলো বাদে) এই প্রতিবেদনটি দেখে সত্যিকার ভাবে নিজেকে অসহায় মনে হয়েছে। যেখানে আমাদের বোনেরা অসহায়। নিজেকে বড়ই অসহায় মনে হচ্ছে।
[উত্তর দিন]
শাহরিয়ার উত্তর দিয়েছেন:
মার্চ 13th, 2010 at 6:54 অপরাহ্ন
ক্ষমতায় গিয়েই এবার ওরা যা শুরু করেছে, আল্লাহই জানেন আর তিনটা বছরে দেশের কি হাল করে তবে বিতাড়িত হবে।
[উত্তর দিন]
ইডেন ছাত্রলীগ সভানেত্রী অপকর্মের পুরস্কার স্বরূপ টিকে গেলো ক্ষমতায়, শুধু বহিস্কৃত হলো অপকর্মের কম সুবিধাপ্রাপ্ত গ্রুপটি।
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2010-03-13/news/48572
সংবাদটি প্রথম আলো কাল আবার উল্টে দিতে পারে বিধায় কপি পেস্ট করে দিলাম।
ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের চার নেত্রীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন কলেজ শাখার সহসভাপতি চম্পা খাতুন, সাংগঠনিক সম্পাদক শারমিন সুলতানা ও তানিয়া সুলতানা এবং সহসম্পাদক কানিজ ফাতেমা।
ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদ হাসান মাহমুদ হাসান প্রথম আলোকে বলেন, শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ইডেন কলেজে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় কলেজ কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
বহিষ্কৃত চারজনই গতকাল শুক্রবার কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি জেসমিন শারমিন ও সাধারণ সম্পাদক ফারজানা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছিলেন।
বহিষ্কৃৃত চার নেত্রী প্রথম আলোকে বলেন, কলেজ শাখার দুই শীর্ষ নেত্রী হলের ছাত্রীদের ওপর নিপীড়ন চালাচ্ছেন, তাঁরা এর প্রতিবাদ করায় উল্টো তাঁদেরই বহিষ্কার করা হলো।
****
শৃংখলা ভঙ্গ মানে কি মন্ত্রীদের বাসায় ছাত্রী প্রেরণ নিয়ে কোন্দল করা? গ্রুপিং না করে সম্মিলিতভাবে নেতাদের মনোরঞ্জনই কি ছাত্রলীগের শৃংখলা?
[উত্তর দিন]
শাহরিয়ার উত্তর দিয়েছেন:
এপ্রিল 16th, 2010 at 6:12 পূর্বাহ্ন
টঙ্গী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগ নেত্রীদের বিরুদ্ধে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ : নেতা পেটাল শিক্ষককে
http://www.amardeshonline.com/pages/details/2010/04/16/27636
[উত্তর দিন]
শালােদর চিরত্র েতা আেগ েথেকই এরকমই িছল!!!!! মােঝ মােঝ শুধু শব্দ শুনা যায়, এেত অবাক হবার িকছু েনই। তেব মেন হেচ্ছ েয, িসঁেধল েচার একটু একটু কের ডাকােত পিরনত হেয়েছ, এটা িবপেদর কথা।
[উত্তর দিন]
আজকে পত্রিকা গুলোতে (প্রথমআলো বাদে) এই প্রতিবেদনটি দেখে সত্যিকার ভাবে নিজেকে অসহায় মনে হয়েছে। যেখানে আমাদের বোনেরা অসহায়। নিজেকে বড়ই অসহায় মনে হচ্ছে।
[উত্তর দিন]
Only Allah knows what will be happen …
[উত্তর দিন]
আওয়ামীলিগ ক্ষমতায় আসলে,চুরি-ডাকাতি-নারী ধর্ষন-চাঁদাবাজী-জবরদখল-লুটপাট-সকল প্রকার মানবতা বিরোধী অপরাধ বেডে যায়। আর ছাত্রলীগ নামক চাপাতিলীগ এ জাতীর অভিসাপ ও কলংক
[উত্তর দিন]
“মাগিলীগ।”
নামটা কেমুন লাগলো জানাবেন।
[উত্তর দিন]
plz desh theke tader bitarito korte ekshathe kaj kori
[উত্তর দিন]