বিশ্বনন্দিত আলেমে দ্বীন, মুফাস্সিরে কুরআন, সারা বাংলার তৌহিদী জনতার আবেগের কেন্দ্রস্থল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ ফাঁসির রায় ঘোষণা করেছে। তার বিরুদ্ধে আনীত ২০টি অভিযোগের মধ্যে ৮টি প্রমাণিত বলে জানিয়েছা ট্রাইব্যুনাল। আমরা এ রায় তীব্রঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করছি। এ রায়ের বিরুদ্ধে যাতে জামায়াত ইসলামী ও তৌহিদী জনতা কোনরূপ প্রতিক্রিয়া দেখাতে না পারে সেজন্য ফেসবুকসহ বিভিন্ন ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিয়েছে।
এই মামলার কিছু আলোচিত দিক:
* আল্লামা সাঈদীর এলাকার কুখ্যাত রাজাকার দেলোয়ার সিকদারকে সাঈদী বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা, অবশেষে মাদ্রাসা বোর্ডের সার্টিফিকেটে তা ভুল প্রমানিত।
* বর্তমানে কলকাতায় অবস্থানরত ভানু সাহাকে ধর্ষনের অভিযোগ অথচ ভানু সাহা বললেন বর্তমান ওলামা লীগ নেতা মোসলেউদ্দীন তাকে ধর্ষন করেছে! সাঈদীর নাম শুনেছেন প্রথম তদন্ত কর্মকর্তার কাছ থেকে।
* জাফর ইকবালের পিতার খুনের আভিযোগ। মামলার সাক্ষী ছিলেন জাফর ইকবাল, জুয়েল আইচ, শাহরিয়ার কবির, দু:খের বিষয় উনারা কেউই আদালতে হাজির হননি! রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি বলছেন উনাদেরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না! যদিও উনাদের সবাইকে সাহাবাগে নিয়মিত দেখা যায়! জাফর ইকবালের মা তার স্বামীর হত্যার বিবরণ দিয়ে একটি বই ও লিখেছেন। অথচ একবারও উনি সাঈদীর নাম উল্লেখ করেননি!
* ৫ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষের তালিকাভূক্ত সাক্ষী সুখ রঞ্জন সাঈদীর পক্ষে সাক্ষী দিতে আসায় আদালত প্রাঙ্গণ থেকে ডিবি কর্তৃক অপহরণ! যার হদিস এখনো মেলেনি।
* সাঈদী রাজাকার ছিলেন না এই মর্মে পিরোজপুরের সাবেক এমপি জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের সাক্ষ্য প্রদান।
* রাষ্ট পক্ষ সাক্ষীদেরকে মিথ্যা সাক্ষী দিতে প্রলুব্ধকরণের রেকর্ড প্রকাশ।
* মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময়টি আল্লামা সাঈদী যশোরে কাটালেও উক্ত এলাকার কাউকে বাদী করা হয়নি! এবং যশোরের যার বাড়ীতে থাকতেন ঐ ভ্দ্রলোককে সাক্ষী হিসাবে নেয়া হয় নি।
* সর্বশেষ ষ্কাইপি কেলেংকারির দায়ে আইসিটির সাবেক বিচারপতি নাসিমের পদত্যাগ।
১। হে ছাত্র শিবিরের ভাইরা আল্লামা সাইদীকে মুক্ত করো (ভিডিও)
http://www.sendspace.com/file/hudhze
Rar password: naibhy
২। ইসলামী ছাত্র শিবিরের শহীদ ভাইদের জন্য দুয়া
হে আল্লাহ, হে বিশ্ব জাহানের রব, সকল প্রশংসাই তোমার। তুমি আমাদের সৃষ্টি করেছ, তুমিই আমাদের রিযিক দাও, আমাদের প্রতিপালন কর। তুমিই আমাদের জীবন দাও এবং তুমিই সে জীবন কেড়ে নাও। কে আছে ক্ষমতাবান তোমার উপরে!
কিন্তু আজ আমাদের চারপাশে লাশ আর লাশ। গতকালও যে ভাইকে একান্ত আপন করে পেয়েছি আজ দেখি সেই ভাই গুলিবিদ্ধ। গতকালও যে ভাই আমাকে সকালের নাস্তা করিয়েছে আজ সে ভাই আমাদের ছেড়ে চলে গেছে ওপারে। হে আল্লাহ। তুমি তাকে জান্নাতের খাবার দ্বারা নাস্তা করাও।
হে আল্লাহ, এই দেশের দিকে তুমি তাকাও। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠের এই দেশে আজ মুসলিমরাই নির্যাতিত-নিষ্পেষিত। আর যারা তোমার রাসুলকে (সাঃ) হেয় প্রতিপন্ন করে, তোমাকে গালিগালাজ করে তাদের মৃত্যুতে বলা হয় শহিদ।
সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক আমাদের সেই প্রিয় নবীর উপর যাকে তুমি পাঠিয়েছিলে সর্বযুগের জন্য সকল সমস্যার সমাধান দিয়ে। তাঁর মাধ্যমেই আমাদের দিয়েছিলে হিদায়াত, বলেছিলে তিনিই আমাদের উত্তম আদর্শ। আমরা যেন তারই আনুগত্য করি, তারই দেখানো পথে চলি। তাহলেই আমরা সফলকাম হব।
হে প্রভু, আমরা কি তাঁর পথে চলছি না? তাঁর সাহাবীরা যদি ত্রিশ বছরে অর্ধ পৃথিবীতে দ্বীন কায়েম করতে পারেন, তবে আমরা কেন পারছি না?
হে আল্লাহ, তুমি বলেছ, যারা মুমিন তাদেরকে দেখলে মুশরিক-কাফেরদের অন্তর কাঁপে, তারা তো কাপুরুষ, মুমিনদের দেখলে ভয়ে লেজ গুটিয়ে যায়।
হে আল্লাহ তুমি বলেছ, শয়তানের চক্রান্ত অত্যন্ত দুর্বল।
কিন্তু আমাদেরকে দেখলে তো তাদের অন্তর কাঁপে না। তারা লেজও গুটায় না, বরং আমাদের অস্ত্র নিয়ে তাড়া করে পাখির মত গুলি করে মারে।
হে আল্লাহ, তুমি যাকে আমাদের জন্য করেছ উত্তম আদর্শ তাঁকে বা তাঁর সাহাবীদেরকে কুফফররা অস্ত্র নিয়ে তাড়া করলে তাঁরা কি করতেন?
তাঁরাও কি আমাদের মত ইটপাটকেল ছুঁড়তেন নাকি উল্টো অস্ত্র নিয়ে তাঁড়া করতেন?
হে আল্লাহ, তুমিইতো বলেছঃ
أُذِنَ لِلَّذِينَ يُقَاتَلُونَ بِأَنَّهُمْ ظُلِمُوا وَإِنَّ اللَّهَ عَلَى نَصْرِهِمْ لَقَدِيرٌ
যুদ্ধে অনুমতি দেয়া হল তাদেরকে যাদের সাথে কাফেররা যুদ্ধ করে; কারণ তাদের প্রতি অত্যাচার করা হয়েছে। আল্লাহ তাদেরকে সাহায্য করতে অবশ্যই সক্ষম। (সূরা হজ্জ্ব, আয়াতঃ ৩৯)
তাহলে আমরা কেন যুদ্ধে নামছি না? শুধু পশ্চিমাদের মত বিক্ষোভ কেন করছি আমরা?
হে আল্লাহ তুমিইতো বলেছঃ
وَأَعِدُّوا لَهُمْ مَا اسْتَطَعْتُمْ مِنْ قُوَّةٍ وَمِنْ رِبَاطِ الْخَيْلِ
“আর তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য সামর্থ অনুযায়ী সংগ্রহ করো শক্তি-সামর্থ্য ও পালিত ঘোড়া …” (সূরা আল আনফাল, আয়াতঃ ৬০)
তাহলে আমরা কেন ইট-পাটকেল যোগাড় করছি?
ইট-পাটকেল দিয়ে কি লড়াই হয়?
আমাদের এখন অস্ত্র চাই। অস্ত্র।
যুদ্ধে যাবার এখনিতো সময়। এখনি সময় আল্লাহর সাথে বানিজ্য সম্পাদন করার, জান আর মালের বিনিময়ে জান্নাত লাভ করার।
তবে আমরা আমাদের জীবন কাপুরুষের মতো বিলিয়ে দিতে পারি না। আমরা বীরের মতো লড়াই করে সম্মুখ সমরে শহীদ হতে চাই।
হে আল্লাহ তুমি বলেছঃ
وَدَّ الَّذِينَ كَفَرُوا لَوْ تَغْفُلُونَ عَنْ أَسْلِحَتِكُمْ وَأَمْتِعَتِكُمْ فَيَمِيلُونَ عَلَيْكُمْ مَيْلَةً وَاحِدَةً
কাফেররা চায় যে, তোমরা তোমাদের অস্ত্রে ও সরঞ্জামের ব্যাপারে অসতর্ক থাকো, যাতে তারা একযোগে তোমাদেরকে আক্রমণ করতে পারে। (সূরা নিসা, আয়াতঃ ১০২)
আমরা আর অসতর্ক থাকব না।
হে আমাদের নেতৃবৃন্দ, আমরা অস্ত্র চাই, আমরা সরঞ্জাম চাই।
এখন আমরাই তাদেরকে একযোগে এমনভাবে আক্রমণ করতে চাই।
আমরা আর হরতাল দিয়ে সাধারন জনগণের ক্ষতির কারণ হতে চাই না।
আমরা মনে করি হাসিনার জালেম এই সরকার দ্বীন ইসলাম থেকে বহির্ভুত হয়ে কাফির-মুরতাদ হয়ে গেছে।
সুতরাং তাদের সাথে আমাদের যুদ্ধ। এ যুদ্ধ আল্লাহর কালিমাকে বুলন্দ করার, এ যুদ্ধ আল্লাহর দ্বীনকে কায়েম করার।
হে আল্লাহ, তুমি আমাদের সাথে থাক, তুমিই আমাদের একমাত্র সহায়।
হে আল্লাহ, তুমি আমাদেরকে শহীদ হিসেবে কবুল করো।
নিশ্চয়ই, আমাদের ভাইদের রক্ত বৃথা যেতে দিবো না।
———————————————————
[উত্তর দিন]